News is information about current events. ... Common topics for news reports include war, government, politics, education, health, the environment, economy, business, fashion, and entertainment, as well as athletic events, quirky or unusual events.

g ads

g ads

করোনা ভাইরাসে কাঁপছে চীন।__স্বপন রায় রন।
 [ভারতে ১২ জন আক্রান্ত, সাবধান বাংলাদেশ]



            📢📣করোনাভাইরাস কী❗❓

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনাভাইরাস সি-ফুডের সঙ্গে যুক্ত। করোনাভাইরাস খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। উট, বিড়াল এবং বাদুড় সহ অনেক প্রাণীর শরীরেই এই ভাইরাস প্রবেশ করতে সক্ষম। আর এই সব প্রাণী থেকেই ওই বিরল ভাইরাসে মানুষও সংক্রামিত হতে পারে। তবে এই ভাইরাস এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। করোনা ভাইরাস হলো নিদু ভাইরাস শ্রেণীর। করোনা ভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি। এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলোব্যাসের মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়।

করোনাভাইরাস -Coronaviruse এর শ্রেণীবিন্যাস
গ্রুপ: ৪র্থ গ্রুপ ((+)ssRNA)
বর্গ: নিদুভাইরাস
পরিবার: করোনাভাইরদা
উপপরিবার: করোনাভাইরিনা
গণ: আলফাকরোনাভাইরাস, বেটাকরোনাভাইরাস, ডেল্টাকরোনাভাইরাস
গামাকরোনাভাইরাস।
আদর্শ প্রজাতি: করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রন্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরণের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়। এরপর থেকে বিভন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২টি দেশে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ৪১ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে।নিশ্চিতভাবে আরো ১৩০০ রোগী এ ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়। অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।

দুখঃ জনক হলেও সত্য অন্যান্য ভাইরাসের মত করোনাভাইরাস এর বিপক্ষেও কোন এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। এখনো পর্যন্ত কোন ভ্যাক্সিন ও আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসক রা এখনো পর্যন্ত শুধুমাত্র সিম্পটমেটিক চিকিৎসা এবং বিশ্রামের উপদেশ দিচ্ছেন। তবে গবেষকগণ এ রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

          📢করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা📣

১. আপনার হাত সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। যদি কোনও সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

২. আপনার নাক এবং মুখ ভালভাবে ঢেকে রাখুন।

৩. অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁদের ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করবেন না এবং তাঁদের স্পর্শ করবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই সুরক্ষিত থাকবেন।

৪.ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে থেকে আসা জিনিসগুলিকেও পরিষ্কার করে ঘরে আনুন।

৫. সামুদ্রিক খাদ্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কেননা এই ভাইরাস সি-ফুড থেকেই ছড়ায়।   

               সূত্রঃ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা

    📢ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয় ভারত 📣

চীনসহ কয়েকটি দেশে সংক্রমিত করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত নয় ভারত ও । কারণ ভারত  সঙ্গে চীনের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ  থেকে চীনে আসা-যাওয়া করছে। এছাড়া অন্য যেসব দেশে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয়েছে, সেই দেশগুলোর সঙ্গেও  সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে।


তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, টাইমস অব ইন্ডিয়া, সংবাদ প্রতিদিন।
লেখাঃ

No comments:

Bottom Ad [Post Page]